অন্দর সাজে নতুনত্ব
দীর্ঘদিন ঘরের একই সাজের একঘেয়েমিতা দূর করতে আপনার বাসাটিকে সাজিয়ে তুলুন নান্দনিকতার ছোঁয়ায়। বাসার সাজে ভিন্নতা আনতে সবসময় দামী জমকালো জিনিস লাগবে তেমন নয়, নিজের দৃষ্টিভঙ্গি আর সৃজনশীলতা দিয়ে ছিমছাম আসবাবে সাজিয়ে তুলতে পারেন আপনার গৃহের অন্দর।
ছিমছাম আসবাবে সাজিয়ে তুলুন অন্দরমহল
নতুন কিছু পন্য ও পুরনো আসবাব রদবদল করেই বাসার সাজে নতুনত্ব আনা যায়। ছিমছামভাবে ঘর সাজাতে অল্প আসবাবে সাজাতে হবে ঘর। বেশি আসবাবে ঠাসা ঘরে প্রশান্তি পাওয়া যায়না। এছাড়া প্যানডেমিকে ঘরে বসে অফিস করায় ঘরের অন্দর সাজে অফিস করার জায়গাটি নতুন করে যুক্ত করতে হয়। দীর্ঘ সময় কাজের ফাঁকে বিশ্রামের জন্য বারান্দায় বসার ব্যবস্থা তৈরী করার প্রবনতাও দেখা যায় এখনকার গৃহসজ্জায়। তাই ঘর যতটা ফাঁকা ও ছিমছাম হয় দেখতে ততটাই মনোরম লাগে।
অন্দর সাজে রঙের ব্যবহার
ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে রঙ বড় ভূমিকা রাখে। ঘর ছোটো হলে রঙ নির্বাচন এমনভাবে করা প্রয়োজন যাতে ঘর বড় দেখায়। এ অবস্থায় হালকা রঙ নির্বাচনই শ্রেয়। এতে ঘর দেখতে অনেকটা বড় লাগে। তবে ভাড়া বাসায় অনেক সময় নিজেদের ইচ্ছামতো রঙ করা যায়না, সেক্ষেত্রে দেয়ালে হালকা উপাদানে তৈরি ফটোফ্রেম দিয়ে সাজিয়ে ঘরে দেয়া যায় নতুন রুপ।
অন্দর সাজুক সবুজের স্নিগ্ধতায়
বিভিন্ন ধরনের গাছ বাড়িয়ে দিতে পারে ঘরের শোভা ও সৌন্দর্য। তবে গাছ রাখার আগে ঘরের আয়তন ও আকৃতির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। গাছ ঘরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে ও মনকে প্রশান্ত করে। সারাদিন পর কাজ শেষে ঘরে ফিরে বা প্যানডেমিকে বেশিরভাগ সময় ঘরে থেকে সবাই চায় একটু প্রশান্তি। ফার্নিচারের সাথে মিল রেখে বিভিন্ন ধরনের পাতাবাহার, ক্যাকটাস, মানিপ্ল্যান্ট, বাঁশ পাতা জাতীয় গাছ ঘরের শোভা বর্ধন করে থাকে।
অন্দরে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা
বাসায় যেন পর্যাপ্ত আলো বাতাস ঢুকে সেটা এখন কমবেশি সকলের চাহিদা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আলো যেকোনো ছোট ঘরকে বড় দেখাতে সাহায্য করে, যে কোন ইন্টেরিয়র ডেকোরকে ফুটিয়ে তুলতে সহায়তা করে। বর্তমানে অনেক ভবনের নকশায় দেখা যায় ট্রান্সপারেন্ট গ্লাসের ব্যবহার।প্রাকৃতিক আলোবাতাস আবাসকে স্বাস্থ্যকর, নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দময় করে তুলে। ইন্টেরিয়র দৃষ্টিকোন থেকে আপনার ঘরটি যতটা হালকা, উজ্জ্বল এবং আরামদায়ক হবে ততটাই বসবাসের উপযোগী হবে।