বিশ্বের সর্বোচ্চ উপার্জন করা পাঁচ সুপার মডেল
ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে সুপার মডেল মানে যারা বারবার রানওয়েতে লিড দেয় এবং Gucci, Armani, Dolce and Gabbana এর মতো ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করে। সুপার মডেলরা এখন শুধু আর রানওয়ে এর কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে রিয়েলিটি টিভি শো,বিউটি লাইন, বই প্রকাশ ও অন্যান্য কাজে অংশগ্রহণ করে থাকে। ফ্যাশনের সবচেয়ে মূল্যবান মুখ যারা সর্বোচ্চ অর্থপ্রাপ্তির দিক দিয়ে ধনীর তালিকায় রয়েছে চলুন দেখে নেয়া যাক তাদের বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ।
জিসেল ক্যারোলিন বুন্ডচেন
ব্রাজিলিয়ান মডেল জিসেল ক্যারোলিন বুন্ডচেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতনপ্রাপ্ত মডেলদের একজন। তার বার্ষিক উপার্জন প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পরপর কয়েক বছর ফোর্বসের সর্বোচ্চ বেতনের মডেলের তালিকায় তার নাম আসে। নিউইয়র্ক ডেইলি নিউজ বুন্ডচেনকে ফ্যাশন জগতের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একজন হিসেবে অভিহিত করেন। বুন্ডচেন ২০১৫ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বইয়ে মডেল হিসেবে স্থান পেয়েছেন যিনি জুন ২০১৪ থেকে জুন ২০১৫ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করছেন।
ক্রিসি টিগেন
আমেরিকান মডেল ক্রিসি টিগেন এর বার্ষিক উপার্জন প্রায় ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তার আত্মপ্রকাশ ঘটে মাত্র এক দশক আগে একটি স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেডের সুইমস্যুট ইস্যুতে। মডেলিং এর পাশাপাশি তিনি মিউজিক্যাল প্রতিযোগিতা সিরিজ লিপ সিন্ক ব্যাটল এর সহ হোস্ট হিসেবে কাজ করেন।এছাড়াও তিনি একজন জনপ্রিয় সেলিব্রিটি শেফ, তিনি দুটি সর্বাধিক বিক্রিত রান্নার বই প্রকাশ করছেন।
মিরান্ডা কের
অস্ট্রেলিয়ান মডেল মিরান্ডা কের ২০০৮ সাল থেকে ক্রমাগতভাবে ফোর্বসের সর্বোচ্চ উপার্জনকারী মডেলের তালিকায় স্থান পায়। তার বার্ষিক উপার্জন প্রায় ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৩৮ বছর বয়সী,তিন সন্তানের জননী মিরান্ডা এখনও মডেলিং জগতে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। মিরান্ডা তার নিজস্ব জৈব স্কিনকেয়ার পন্যের ব্র্যান্ড Kora Organics চালু করেছেন এবং একটি স্ব- সহায়তা বই লিখেছেন।
কেন্ডেল জেনার
আমেরিকান মডেল কেন্ডেল জেনার বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ মডেলদের মধ্যে একজন। তার বার্ষিক উপার্জন প্রায় ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। জেনার ১৪ বছর বয়সে তার মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং বিভিন্ন দেশে হাই প্রোফাইল কভারের জন্য পোজ দিয়েছেন তিনি Estee Lauder এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।
কার্লি ক্লস
আমেরিকান ফ্যাশন মডেল কার্লি ক্লস তার মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু করেন মাত্র ১৪ বছর বয়সে। তার বার্ষিক উপার্জন প্রায় ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কার্লির হাই প্রোফাইল কাজ হলো রিয়েলিটি টিভি সিরিজ প্রজেক্ট রানওয়ের হোস্ট হিসেবে, যেটা তিনি ২০১৯ সাল থেকে উপস্থাপন করছেন। মডেলিং এর বাইরে ক্লসের প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ রয়েছে। এছাড়া ক্লস ‘ Kode with Klossy’ ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করেন যার লক্ষ্য হলো অল্পবয়সী মেয়েদের STEM ক্ষেত্রে আগ্রহী করা।