মনকে শান্ত রাখুন
আমাদের অভ্যন্তরীন শান্তি বজায় রাখার জন্য মনকে শান্ত ও স্থির রাখা প্রয়োজন। এতে অনেক সময় কঠিন পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।অনেক সময় দেখা যায় কাজের মধ্যে কিছুতেই মনকে স্থির রাখা যায় না। কোনো জরুরী আলোচনার মধ্যেও অন্যদিকে মনযোগ চলে যায়। এমন অবস্থায় কিছু সহজ অভ্যাস চর্চা করতে পারলে মনকে শান্ত ও সংযত রাখা সহজ হয়।
মেডিটেশন করা
মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ধ্যান বা মেডিটেশন করা খুব উপকারী একটি বিষয়। আমাদের মন একসঙ্গে অনেক কিছু চিন্তা করে। ধ্যানের মাধ্যমে একটি বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়।মেডিটেশন আমাদের মানসিকভাবে শক্ত করে তোলে। এটির কারণে যেকোনো পরিস্থিতি হাসিমুখে মোকাবেলা করা যায়। এতে ভেতরকার মনের শান্তি বাইরেও প্রতিফলিত হয় এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখানো হ্রাস পাবে ।
আনন্দদায়ক কিছু করা
নিজের ভালো লাগার কাজ যেমন – গান শোনা , ছবি আঁকা, চলচ্চিত্র দেখা মনকে প্রশান্তি দেয়। এতে কিছু সময়ের জন্য মন অন্য কাজে ব্যস্ত হয় এবং খানিকটা দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়া যায়। এছাড়া অন্যান্য সৃজনশীল কাজ,সেবামূলক কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখলে মন অনেকটাই প্রশান্ত হয়।
ইতিবাচক চিন্তা করা
‘থিংক পজিটিভ’ কথাটিকে আজকাল খুব গুরুত্ব দেয়া হয়। অর্থাৎ সবকিছু পজিটিভলি দেখা বা দৃষ্টিভঙ্গিকে পজিটিভ করা। ইতিবাচক চিন্তা মনকে স্থির রাখে এবং জীবনে সাফল্য আনে। এছাড়া ইতিবাচক মানুষের সাথে মেশাও চিন্তাশক্তি পজিটিভ রাখে।এদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবন চলার পথে কাজে লাগিয়ে উন্নতি সাধন করা যায়।
নিজেকে সময় দেয়া
যখন কেউ ভালো কোনো কাজ করে আমরা প্রশংসা করি।আমরা নিজেরাও প্রশংসা পেতে পছন্দ করি। কিন্তু সবসময় অন্যের কাছ থেকেই প্রশংসা পেতে হবে এমন নয়, নিজের ভালো কাজের জন্য নিজেই সেলিব্রেশন করুন। নিজেকে সময় দিন,নিজের সাথে ভালো সময় কাটালে দেখবেন মনটাও শান্ত থাকবে।
বেশি বেশি বই পড়া
ব্যায়াম যেমন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে তেমনি বই পড়ার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের মনকে সুস্থ ও আনন্দিত রাখতে পারি।বই আমাদের একাকিত্ব দূর করে।বই পড়লে মনকে অনেক বেশি সংযত রাখা যায়। অনেকটা সময় স্থির হয়ে বইয়ের পাতার দিকে নজর দিয়ে রাখলে তা থেকে উপকার পাওয়া যায়। তাই নিজেকে সমৃদ্ধ ও মনকে শান্ত রাখতে বেশি বেশি বই পড়ুন।
পরিবারকে সময় দেয়া
ক্যারিয়ার, উচ্চাকাঙ্খা, বন্ধু বান্ধবের সাথে সময় কাটিয়ে আমরা অনেক সময় পরিবার ও সমাজকে সময় দিতে পারিনা। এটা অনেক সময় আত্মঘাতী হয়ে যায়। এটা না করে পরিবার ও নিজের কাছের মানুষদের সময় দিন। এটি উদ্বেগ কমিয়ে মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করবে।