স্মৃতিশক্তি বাড়াবে যে খাবারগুলো
অনেকেরই বয়সের সাথে সাথে স্মৃতিশক্তি কমে যায় আবার অনেকের এমনিতেই ভুলে যাওয়ার রোগ আছে। ছোট ছোট ভুলে যাওয়ার সমস্যা থেকেই পরবর্তীতে আলঝেইমার, ডিমেনশিয়ার মতো স্মৃতি লোপ পাওয়ার অসুখ দেখা দেয়। তাই স্মৃতিশক্তি ঠিক রাখতে খাবার তালিকায় যোগ করে নিতে পারেন কিছু খাবার।
ডার্ক চকলেট
এতে থাকে ফ্লাভানয়েড, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী উপাদান। এটি ধমনীর কার্যকারিতা উন্নত করে, মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহ বাড়ায় , নিউরনকে সুরক্ষিত রাখে যা স্মৃতিশক্তির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
কুমড়ার বীজ
কুমড়ার বীজে থাকে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, দস্তা, কপার ও লৌহ। এসব মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ায়।
বাদাম
কাঠবাদাম ও আখরোট ভিটামিন-ই এর খুব ভালো উৎস। স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে প্রতিদিন ১০-১২ টি বাদাম খান।এতে মস্তিষ্কের উর্বরতা বাড়বে।
কফি
কফিতে থাকা ক্যাফেইন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের জন্য বেশ উপকারী। ক্যাফেইন মনোযোগ বৃদ্ধি ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির সহায়ক। বিশেষজ্ঞরা বলেন ‘ কফি শুধু মস্তিষ্ককে চাঙ্গা করে তা-ই না, নতুন কোনো ঘটনাকে স্থায়ীভাবে মনে রাখতেও সহায়তা করে।
ব্রকলি
পুষ্টিগুনে ভরপুর ব্রকলিতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফ্ল্যাভোনয়েড,ভিটামিন- ই ও প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এসব পুষ্টি উপাদান মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।।নিয়মিত ব্রকলি খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
তৈলাক্ত মাছ
মানব শরীরে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড উৎপন্ন হয়না। তাই খাবারের মাধ্যমে তা গ্রহণ করতে হয়। স্যামন, সারডিন-সহ মিঠাপানি ও সামুদ্রিক মাছ অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
জামজাতীয় ফল
মস্তিষ্কের তথ্য ধারণক্ষমতা এবং বয়সজনিত ক্ষয় কমাতে জামজাতীয়ব ফলগুলো বিশেষ উপকারী। এতে প্রচুর অ্যান্ট-অক্সিডেন্ট থাকে যা মস্তিষ্কের ফ্রী রেডিক্যাল বা মুক্ত মৌলকে নিষ্ক্রিয় করে। আর এজন্যই জামজাতীয় ফলকে বলে ‘ নিউরোপ্রটেক্টর ‘।